হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুজায়ী, ইরানের মন্ত্রিসভার সদস্যরা, পার্লামেন্ট (মজলিস) ও বিচার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নেতারা আজ মঙ্গলবার দুপুরে সর্বোচ্চ নেতার সাথে সাক্ষাৎ করেন। নতুন ইরানি বছরের (হিজরি শমসি) শুরুতে এই বৈঠকে সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্যের মূল বিষয়গুলো ছিল:
- ওমান আলোচনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক দায়িত্বের মধ্যে একটি মাত্র।
- দেশের সমস্যাগুলোকে এই আলোচনার সাথে যুক্ত করবেন না।
- আমরা না এই আলোচনা নিয়ে অত্যধিক আশাবাদী, না অত্যধিক সন্দিহান।
- এটি একটি সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ, যা প্রাথমিক পর্যায়ে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
- তবে আমরা প্রতিপক্ষকে নিয়ে অত্যন্ত সন্দেহ করি, কিন্তু আমাদের নিজস্ব শক্তির উপর আস্থা রাখি।
- জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ)-এ যে ভুল করা হয়েছিল, তা যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।
- তখন আমরা দেশের অগ্রগতিকে আলোচনার উপর নির্ভরশীল করেছিলাম, যা বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করেছিল।
- সব ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে দ্রুত কাজ করতে হবে, কোনো কিছুই আলোচনার ফলাফলের উপর নির্ভরশীল করা যাবে না।
- উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
- উৎপাদন খাতে বাধাগুলো দূর করতে হবে এবং বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
- দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও আগ্রহ বাড়বে।
- "নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া আমাদের হাতে নেই, কিন্তু নিষেধাজ্ঞাকে ব্যর্থ করা আমাদের হাতে আছে।" এ লক্ষ্য অর্জন করলে দেশ নিষেধাজ্ঞার ক্ষতি থেকে মুক্ত হবে।
গাজা সংকটের প্রতি ইঙ্গিত: সর্বোচ্চ নেতা তার বক্তব্যের শেষে গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বর্বরতা নিন্দা করেন। তিনি হাসপাতালের রোগী, সাংবাদিক, অ্যাম্বুলেন্স, নারী ও শিশুদের উপর ইসরায়েলের নৃশংস হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, "এই অপরাধগুলো সংঘটনতে অস্বাভাবিক নৃশংসতা প্রয়োজন, যা দখলদার ইহুদিবাদী গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে।"
তিনি অর্থনীতি, রাজনীতি ও বাস্তব ক্ষেত্রে মুসলিম বিশ্বের সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং বলেন, "এই অত্যাচারীদের উপর আল্লাহর শাস্তি অবশ্যম্ভাবী, কিন্তু এটা সরকার ও জনগণের দায়িত্ব কমায় না।"
আপনার কমেন্ট